দেলোয়ার হোসাইন টিসু,উখিয়া:
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াই টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং বাজারে অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত হয়। এই অগ্নিকাণ্ডে ৫ টি কাপড়ের দোকান আগুনে পুড়ে যায়। এতে দোকানে ৩ কর্মচারীর ঘুমন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে নিহত হয়। আহত হয়েছে আরো অনেকে।
নিহতরা হলেন বালুখালী ১০ নং ক্যাম্পের জি-ব্লক এর বাসিন্দা ছৈয়দ আলমের ছেলে আরমান উল্লাহ (২০), মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে ফরিদুল ইসলাম ও আমানুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ আয়াছ।নিহতরা সবাই স্থানীয় দোকানদার কুতুপালং এর সৈয়দ মুস্তাফার দোকানের কর্মচারী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তখন অনেক দোকানের কর্মচারীরা ঘুমন্ত ছিল। ভয়াবহ আগুন হওয়াই এই তিনজন বের হতে পারেনি, ঘুমন্ত অবস্থায় তারা পড়ে তারা মারা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুতুপালং বাজারে রাত আনুমানিক আড়াই টার দিকে বক্তিয়ার মার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়,খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ব্যবসায়ী, স্থানীয় মানুষ ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ইমারজেন্সি রেসপন্স টিমের স্বেচ্ছাসেবকরা আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে অংশ নেই। প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তবে আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার এমদাদুল হক বলেন, কুতুপালং বাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুততার সাথে ঘটনাস্থলে এসে অগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করি। দোকানে কর্মরত বালুখালী ১০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফয়েজুল ইসলাম, আনসার উল্লাহ ও আয়াজ উল্লাহর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। আহতদের পার্শ্ববর্তী ফিল্ড হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply